সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে মেঘাই উত্তরপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ভাঙ্গন রোধে প্রায় দিন রাত কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে যমুনার পাড় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।
সোমবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙ্গন এল্কাায় গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে আসে। এ ভাঙ্গন রোধে তদারকি কাজে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমানের দেখা মিলল।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত বাঁধের উল্লেখিত স্থানে শনিবার রাতে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যমুনায় পানি বৃদ্ধি না পেলেও ভাঙ্গনের উজানে অনেক চর ও ডুবোচর জেগে উঠছে। এতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় কয়েকদিন ধরে এবং এ স্রোতের কারণে ওই বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যায়। এসব কারণেই বাঁধ এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়।
ইতোমধ্যেই এ ভাঙ্গনে প্রায় ৭৫ মিটার এলাকা জুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙ্গন ঠেকাতে রোববার সকাল থেকে (জরুরি ভিত্তিতে) সেনাবাহিনীর বিশেষ সহযোগিতায় সেখানে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ভাঙ্গন রোধে পাউবো’র তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে প্রায় দিনরাত। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার জিও ব্যাগ ভাঙ্গন স্থানে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে বাঁধ ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং এখন আর ভাঙ্গনের আশংকা নেই। তবে বাঁধ ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বাঁধের ভাটি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশংকা ছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধ এলাকায় যথা সময়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর পানি কমতে থাকলেও বাঁধের উপর নজর কমতি ছিল না এবং বৃষ্টির কারণে বাঁধের অনেক স্থানে দূর্বলের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ওই বাঁধ এলাকায় প্রবল ¯্রােতের কারণে বাঁধের প্রায় ৭৫ মিটার বিলীন হয়েছে।
এদিকে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইনসহ অনান্য কর্মকর্তারা এ ভাঙ্গন রোধের কাজে সর্বসময় তদারকি করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।